‘জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ উপহার দিতে পারবে’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় সমস্যা দুর্নীতি। প্রশাসনের যেখানেই হাত দেওয়া হয় সেখানেই দুর্নীতি। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্যখাতকে ধ্বংস করে গেছে। ন্যাশনাল ডক্টর'স ফোরামের সদস্যদের সেবার মাধ্যমে, নিজেদের কাজ ও দক্ষতার মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। প্রফেশনাল দক্ষতার মাধ্যমেই এই পরিবর্তন আনা সম্ভব।
আজ সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে শাহবাগে ফজিলাতুন্নেছা কনভেনশন সেন্টারে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ) ঢাকা মহানগরী (দক্ষিণ) আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এনডিএফকে একটি ব্রান্ডে পরিণত করতে হবে, যাতে করে আপনাদের কাছে আগত রোগীরা বলতে বাধ্য হয় এনডিএফ'র চিকিৎসকগণ সততা ও ইথিক্যাল প্রাকটিস করে। আমাদের পেশা মূল পরিচয় নয়, আমাদের সেবাই মূল পরিচয়। সরকারি অন্যান্য সেক্টরে নিরাপত্তার জন্য আলাদা পুলিশ বাহিনী থাকলেও চিকিৎসকদের জন্য আলাদা কোনো পুলিশ বাহিনী নেই। তাই সরকারের কাছে আমাদের দাবি কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও চিকিৎসকদের জন্য পেশাগত সুরক্ষা আইন তৈরি করতে হবে।
ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম বঙ্গবঙ্গু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ডা. মো. আতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে এবং ডা. মোহাম্মদ গোলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি নুরুল ইসলাম বুলবুল, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের সভাপতি প্রফেসর ডা. মো. নজরুল ইসলাম।
এ ছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন এনডিএফ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি ডা. তোফাজ্জেল হোসাইন, এনডিএফ ঢাকা মহানগরী উত্তরের সভাপতি ডা. আসাদুজ্জামান কাবুল, এনডিএফ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মহিলা শাখার সভাপতি ডা. সালমা বেগম, এনডিএফ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ মহিলা শাখার সহসভাপতি ডা. শাহানা পারভিন লাভলি, এনডিএফ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ডা. রুহুল কুদ্দুস বিপ্লব, প্রফেসর ডা. সাজিদ আব্দুল খালেক, প্রফেসর ডা. আমির হোসেন, প্রফেসর ডা.রুহুল আমিন, প্রফেসর ডা. মতিয়ার রহমান, ডা. হারুন অর রশিদ, ডা. মো. আলী আফতাব এবং ডা. মাহমুদুল হাসান নয়ন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে রাজধানীর আজিমপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত ডা. সজিব সরকারের বাবা আব্দুল হালিম সরকারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এদেশে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার একটি প্রত্যয় দ্বীপ্ত কাফেলা। দেশের জনগণ মনে করে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিটি কর্মী সৎ এবং দক্ষ। তারা দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও দখদারিত্ব করে না। দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ বিশ্বাস করে আগামীতে জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ উপহার দিতে পারবে। তাই জনগণের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়নের জন্য জামায়াতের কর্মীদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
বড় হুমকি মোকাবেলায় ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্ষমবড় হুমকি মোকাবেলায় ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্ষম
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার নিজেদের ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। আমরা জনগণের যৌক্তিক দাবি দিয়ে মাঠে নামলে এই ফ্যাসিস্ট সরকার গুম, খুন এবং নির্যাতনের মাধ্যমে আন্দোলনকে দমন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় তারা ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে দমন করার জন্য রাষ্ট্রীয় সকল শক্তি প্রয়োগ করেছে। কিন্তু তারা আন্দোলন দমনে ব্যর্থ হয়েছে।
নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আমরা ৬ আগস্ট থেকেই দাবি করে আসছিলাম ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত এবং শহীদদের সুনির্দিষ্ট তালিকা করে রাষ্ট্রকে তাদের অভিভাবকত্বের দায়িত্ব নিতে হবে। যারা জীবন দিয়ে এদেশকে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার হাত থেকে রক্ষা করলো তাদের জাতীয় বীরের মর্যাদা দিতে হবে। চিকিৎসকগণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গণঅভ্যুত্থানের সময় আাহতদের যে সেবা করেছেন, তা অতুলনীয়। এ কার্যক্রমকে অব্যাহত রাখতে হবে।